মাথার ওপর চৈত্রের উত্তপ্ত সূর্য। রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট। নগর জীবন যেন স্থবির হয়ে পড়েছে সড়কে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটছে রাস্তায়। যে কোনো উপায়ে অসহনীয় এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান নগরবাসী।
সমহিমায় গণণবিদারী চৈত্র্যের সূর্য। মেগাসিটির কংক্রিটের সড়কে চোখ মেলা ভার। তার মাঝেই অফিসগামী কিংবা জরুরি কাজে যারা বেরিয়েছেন তারমধ্যে আবার অনেকেই হেঁটে পার হচ্ছেন দীর্ঘপথ। গত কয়েকদিনের তীব্র যানজটে যাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার জন্য, তাদের যেন নরক যন্ত্রণা হয়েছে এ নগরে যাতায়াত ব্যবস্থা।
সকাল থেকেই রাজধানীর রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে, ১০ মিনিটের রাস্তা পেরুতেই কেটে যাচ্ছে কয়েক ঘণ্টা। কাজে বের হয়ে শারীরিকভাবে গরম ও যানজটে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই।
এ শহরে যানজট বিষয়ে পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এমন পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, রাস্তার স্বল্পতা, ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধি, ফুটপাত ও রাস্তা দখল, গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতা-এসব মিলে এ যানজট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকায় যে হারে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, সে তুলনায় বাড়েনি বাসের সংখ্যা। বিআরটিএর তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত ঢাকা মেট্রো এলাকায় ৩৭ হাজার ৫৯৩টি বাসের নিবন্ধন হয়েছে। গত বছর ঢাকায় বাস নামে ১ হাজার ২১৩টি।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতে নৈরাজ্য বন্ধ করে সুষ্ঠুভাবে বাস চালাতে পারলে এবং রাস্তায় মানসম্পন্ন বাস নামালে যাত্রী ভোগান্তি কমার পাশাপাশি যানজট পরিস্থিতিরও যথেষ্ট উন্নতি হবে। রাজউকের দেওয়া তথ্যমতে, ঢাকার সড়কের মাত্র ১ শতাংশ দখলে রাখে বাস। অথচ প্রায় ৬০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করে এ বাস।
গরমের তীব্রতা প্রকৃতির হাতে তা কমানোর উপায় নেই। কিন্তু, যানজট নিরসনে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার দাবি নগরবাসীর।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।