নৌকার প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হওয়া নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে তাইজুল ইসলাম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। দুই বছর পর এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নির্বাচন কমিশনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সালাউদ্দিন রবিন। মামলায় কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়।
সালাউদ্দিন রবিন দাবি করেন, ইভিএমের ফলাফল উপেক্ষা করে তাইজুল ইসলাম চৌধুরীকে বিজয়ীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সালাউদ্দিন রবিনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করেছেন কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম
মামলায় সালাউদ্দিন বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আটজন প্রার্থী কাউন্সিলর পদের নির্বাচনে অংশ নেন। তাঁর প্রতীক ছিল টিফিন ক্যারিয়ার। আর তাইজুলের প্রতীক ছিল ঝুড়ি। নির্বাচনে ৫৪টি কেন্দ্রের সব কটিতে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। বিকেল চারটার পর ভোট গণনার সময় তাঁর নির্বাচনী প্রতিনিধিদের (পোলিং এজেন্ট) হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও সেটি আমলে নেওয়া হয়নি। এসব কেন্দ্রের ফলাফলেও নির্বাচনী প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর নেই।
বাদীর আইনজীবী নাজমা জলিল প্রথম আলোকে জানান, ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ভোট গণনার আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে সালাউদ্দিনের দাবিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেছেন কাউন্সিলর তাইজুল। তাতে তিনি বলেন, কোনো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গণনায় অনিয়ম হয়নি।
কাউন্সিলর তাইজুলের আইনজীবী শায়েস্তা খান প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি পর্যায়ে আছে। এই পর্যায়ে ভোট গণনার আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। কোনো কেন্দ্রে ভোট গণনায় অনিয়ম হয়নি। ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।