স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা অফিস : পাঠক প্রিয় পত্রিকা দৈনিক করতোয়াসহ প্রকাশনার পঁচিশ বছর পেরোনো সদস্য সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা দিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ‘২৫ পেরোনো নোয়াব-সদস্য সংবাদপত্র সম্মাননা-২০২২’ জমকালো অনুষ্ঠানটি ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী এমপির হাত থেকে দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক সম্মাননা ক্রেস্টটি গ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে দৈনিক করতোয়া পত্রিকাটির প্রকাশনা শুরু হয়। বর্তমানে পত্রিকাটি প্রকাশনার ৪৫ বছর পেরিয়ে ৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে।
সম্মাননা পাওয়া অন্য সংবাদপত্রগুলো হচ্ছে- দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বাঞ্চল, দৈনিক পূর্বকোণ, ইনকিলাব, ভোরের কাগজ, জনকণ্ঠ, দ্য ডেইলি স্টার ও দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরবিক্রম, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।
এছাড়া নোয়াব সদস্য, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কবি-লেখক, রাষ্ট্রদূত, আইনজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নোয়াব সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয় গণমাধ্যমকে। বিশ্বায়নের এই যুগে কেউ বিচ্ছিন্ন নয়। সংবাদ সংগ্রহের পর তা আমাদের সামনে পরিবেশন করছে গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের পাওয়া তথ্য আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এজন্য দায়িত্বশীল ও নৈতিকতাসম্পন্ন গণমাধ্যম দরকার। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাই পারে সমাজকে পরিবর্তন করতে।
বিশেষ অতিথি ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের চমৎকার সম্পর্ক। সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী; যেকোনো সমালোচনা গ্রহণে প্রস্তুত। তবে সমালোচনার পাশাপাশি উন্নয়ন ও অর্জনের কথাও বলতে হবে।
নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, ডিজিটাল মিডিয়ার আগ্রাসী উত্থানে ছাপা পত্রিকা সংকুচিত হচ্ছে। পাঠক ও বিজ্ঞাপন কমছে। এর মধ্যে টিকে থাকার চেষ্টা করছে ছাপা পত্রিকা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই খাতে সরকারের আরও সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের আইন নিয়ে উদ্বেগ আছে।
অনুষ্ঠানে প্রকাশনার ২৫ বছর পার করা সংবাদপত্রগুলোকে তাদের এ কৃতিত্বের জন্য নোয়াবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়, এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে। নোয়াব ভবিষ্যতেও ২৫ বছর পার করা সংবাদপত্রকে সম্মাননা জানাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।