অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয়। উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সমর্থন ও সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শনিবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শনিবার ১৫তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ। এ উপলক্ষ্যে দেশের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি মনে করেন, দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘এমন বিশ্ব গড়ি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩’, ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩’, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন- ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯’ প্রণয়ন করেছে।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, এ সব আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা বাস্তবায়নের ফলে প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসা ও থেরাপি সেবার পাশাপাশি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যা সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র চালু করে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তি এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনমান আরও উন্নত করা সম্ভব হবে বলে রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, অটিজম ও এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবার প্রয়োজন হয়। মাত্রাভেদে অনেকেই অন্যের সাহায্য ছাড়া জীবন অতিবাহিত করতে পারে না বিধায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যথাযথ পুনর্বাসন ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন শিশু ও ব্যক্তির জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরও প্রসারিত করবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
রাষ্ট্রপতি ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।