সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ২৫০ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়। অথচ শিক্ষার্থীদের টাকা প্রদান করার কোন রশিদ দেয়া হয়নি।
অভিযোগে শিক্ষার্থীরা জানায়, তৃতীয় ধাপে কলেজের ভর্তির শেষ দিন বৃহস্পতিবার ছিল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এবারের উপজেলা পর্যায়ের কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি বাংলা ভার্সনে ১ হাজার ৫শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে ভর্তিতে কোনক্রমে উন্নয়ন ফি’র নামে কোন অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের আসন সংখ্যা ২৫০টি। এদের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের ১০৮ জন এবং বাইরের ১৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার কলেজের শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার ৫৭০ টাকা আদায় করা হয়। অথচ উল্লিখিত পরিমাণ টাকার বিপরীতে রশিদ দেয়া হয়েছে তিন হাজার ১৭০ টাকার। এতে ২৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪শ’ টাকা করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে।
ভর্তি হতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমি এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার কাছেও বাড়তি ৫শ’ টাকা নেয়া হয়েছে যা রশিদে উল্লেখ নেই। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়, ৪শ’ টাকা ফরম বাবদ ও বাকি ১শ’ টাকা এসএসসি পরীক্ষার প্রশংসাপত্রের জন্য নেয়া হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠান থেকে এর কোন লিখিত রশিদ দেয়া হবে না বলে জানানো হয়।
অভিযোগে আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১১৮ জন। এরমধ্যে ১০৮ জন এই কলেজের ভর্তি হয়েছে। যাদের সকলের কাছে প্রশংসাপত্র বাবদ ১শ’ টাকাসহ মোট ৫শ’ টাকা করে নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত ৪শ’ টাকা নেয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে রশিদ ছাড়া বাড়তি টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান থেকে দুইটি মাস্ক ও একটি প্রসপেক্টাস দিয়েছি। এজন্য বাড়তি কিছু অর্থ নেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। তবে প্রশংসাপত্র বাবদ টাকা কোন নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেহেনা ইয়াসমীন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানে রশিদ ছাড়া টাকা আদায় কোন নিয়ম নেই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।