লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০ টাকা সেশন ফি বাড়িয়েছে নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান উচ্চ বিদ্যালয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলীকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলীকে মুক্ত করা হয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ৩শ'টাকার সেশন ফি ৫শ'টাকা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী। বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হয় না। শ্রেণীকক্ষে পর্যাপ্ত বসার ব্রেঞ্চ নেই, নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগ, বাণিজ্যিক বিভাগ ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের একই শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করানো হয়। জাতীয় সংগীত শোনা যায় না বলে আমাদের কাছ থেকে সাউন্ড বক্স কেনার টাকা নিয়েও এখন পর্যন্ত কিনেননি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী বলেন, আমাদের সকল শিক্ষককেই আটকে রাখা হয়। এ বিষয়ে নিউজ করার দরকার নেই। আমাদের সমস্যা আমরাই বসে সমাধান করবো।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিঠু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে সেশন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখলে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছারুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলীকে মুক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।