শিরোনাম

  এয়ার টিকেট মূল্য ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে যেয়ে বিপাকে আটাব, পেছন থেকে গোপনে মদদ দেয়ার অভিযোগ এয়ারলাইন্স, OTA এবং অভিযুক্ত সিন্ডিকেট ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে।       আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ, ঢাকা সেনানিবাসের দরপত্র আহ্বান       হামাসকে ইসরায়েলি নারী, আপনাদের কাছে আমার মেয়ে রাজকন্যার মতো ছিল       চেয়ারম্যান সাব্বির খানের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকার জন্য প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ- গোপালগঞ্জ।       ইসলামী অর্থনীতিতে দান এবং যাকাত এক নয়। যাকাত বঞ্চিতদের পাওনা - মোঃ মাসউদুর রহমান।       উর্ধমুখী এয়ার টিকেট মূল্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই বলে মন্তব্য করেন মোঃ মাসউদুর রহমান       নৌকার প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত       চাঁদপুরের মতলব(উঃ) শিক্ষককে হত্যা চেষ্টায় বাহির থেকে তালা দিয়ে আগুন!       বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে চারটি ইউনিট       পর্যটনের অপার সম্ভাবনা হতে পারে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া সাথে জামাই চা!    

চৈত্র মাসে তিস্তায় পানি রবি ফসলের ক্ষতি

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২২, ০৮:৩৬ সকাল
আপডেট: এপ্রিল ০৩, ২০২২, ০৮:১৪ সকাল

লালমনিরহাট অফিস: চৈত্র মাসে হঠাৎ অসময়ে ভারত গজলডোবা ব্যারাজ খুলে দেয়ায় পানি বেড়েছে তিস্তায়। তলিয়ে গেছে মরিচ-পেঁয়াজ, আলু, মিষ্টি কুমড়া, গম, তামাক ও ভুট্টাসহ বিস্তৃৃর্ণ চরের আবাদ। গত পাঁচদিন থেকে তিস্তার পানি দিনে কমলেও বিকেল থেকে পানি বাড়ছে। চৈত্র মাসে তিস্তা নদীতে সাধারণত পানি থাকে না বললেই চলে। কিন্তু গত কয়েক দিনে হঠাৎ তিস্তায় পানি বেড়েই চলেছে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী জেলার বিস্তৃৃর্ণ তিস্তার চরে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।


দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টের উজানে ভারত গজলডোবার গেট হঠাৎ খুলে দেয়ায় এই শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চর এলাকার বিভিন্ন ফসলি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।


ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এসময় পানির প্রয়োজন না হলেও ভারত এই শুষ্ক মৌসুমে পানি দিয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কিউসেক। সেচ কাজে ব্যবহার হয়েছে মাত্র ১১০০ কিউসেক। ভারত থেকে অতিরিক্ত পানি আসায় তিস্তা ব্যারেজের দুইটি গেট খুলে খুলে দেয়ায় কৃষকের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে।


তিস্তার চরে পেঁয়াজ চাষি ফজর আলী বলেন, হঠাৎ এই চৈত্র মাসে তিস্তার পানি কেন বৃদ্ধি পেল আমাদের জানা নেই। আমার প্রায় ১ একর আবাদি পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। চরের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতি বছরের চৈত্র মাসে এমন পানি আসে না। এ বছর হঠাৎ তিস্তার পানি এলো। এখন পানির দরকার নেই। অথচ ভারত পানি দিয়ে আমাদের মতো অসহায় কৃষককে বেকায়দায় ফেলেছে। বাইস পুকুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জানান, তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় জেগে ওঠা চরে প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে গম ও পেঁয়াজ রোপণ করেছি। কিন্তু ৫ দিন থেকে ব্যারেজের উজানে পানি ওঠানামা করায় গম, পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। জায়গা-জমি নেই, তাই এই জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। এ বছর হাজার হাজার কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত।


পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম জানান, গজলডোবা ব্যারেজের কয়েকটি গেট খুলে দেয়ায় গত ৭২ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিউসেক পানি উজান থেকে এসেছে। ফলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।


লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আবার কিছু ফসলের উপকার হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। সামান্য কিছু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের তালিকা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়