সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা-চিনিরপটল রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। পুরো রাস্তা জুঁড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় জনসাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার সাঘাটা বাজারের চারমাথা হতে চিনিরপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ সীমানা পর্যন্ত (সাঘাটা-চিনিরপটল) প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রায় ২০ বছর আগে এলজিইডি’র অর্থায়নে পাকাকরণ করা হয়। এরপর রাস্তাটি আর সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তাটির সংস্কার কাজ না হওয়ায় দিনদিন রাস্তার পাথর উঠে মাঝে মধ্যে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে গর্ত লো মাটি দিয়ে ভরাট করলেও প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বন্যা এবং ভারি বৃষ্টিপাতে রাস্তায় আবারও অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়। অথচ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হলদিয়া, ঘুড়িদহ ও জুমারবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ৭ গ্রামের মানুষ সাঘাটা উপজেলা শহর, জেলা শহর, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। বিশেষ করে হলদিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শস্য নৌকাযোগে ঘাটে পৌঁছার পর এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান ও অটোরিকশায় হাট-বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। প্রয়োজনের তাগিদে অনুপযোগী রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সাবেক ইউপি সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহনসহ অসংখ্য মানুষ চলাচল করে। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির পুরো অংশের পাকা নষ্ট হয়ে মাঝে মাঝে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাস্তাটি সব ধরনের চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
চিনিরপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন গ্রামেরর লোকজন, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। জরুরিভাবে রাস্তার সংস্কার হওয়া দরকার। তা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে এর চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া না যাওয়ায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ জানান, রাস্তাটির টেন্ডার এখনও হয়নি। কবে রাস্তার সংস্কার করা হবে তা তিনি জানেন না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।