দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা আয়েশা খাতুন স্থানীয় অভিভাবকের হাতে প্রহৃত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুরে। এ বিষয়ে সহকারি শিক্ষিকা আয়েশা খাতুন নিজেই বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মাহমুদ কলি (৩৬) সেরপুর উত্তরপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে সেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের সহকারি শিক্ষিকা আয়েশা খাতুন ৪র্থ শ্রেণিতে পাঠদান করাচ্ছিলেন। এসময় অভিযুক্ত মাহমুদ কলি শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে কয়েকজন ছাত্রকে লাঠি দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারপিট শুরু করে। এসময় শিক্ষিকা বাধা দিলে তাকেও মারপিট করা হয়। শিক্ষিকা দৌড়ে অফিস কক্ষে আশ্রয় নিলে সেখানেও তার উপর হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে তার চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষকরা এগিয়ে এলে হামলাকারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। পরে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
পুলিশ সূত্র জানা গেছে, অভিযুক্ত মাহমুদ কলির সন্তান ওই ক্লাসেরই শিক্ষার্থী। ক্লাসের আগে খেলাধুলার সময় অন্য এক শিক্ষার্থী তার সন্তানকে মারপিট করে। সন্তানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সে ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের মারপিট শুরু করে। এসময় ওই শিক্ষাকা শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে গেলে তিনিও হামলার শিকার হন।
থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মাহমুদ কলিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।