শিরোনাম

  এয়ার টিকেট মূল্য ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে যেয়ে বিপাকে আটাব, পেছন থেকে গোপনে মদদ দেয়ার অভিযোগ এয়ারলাইন্স, OTA এবং অভিযুক্ত সিন্ডিকেট ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে।       আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ, ঢাকা সেনানিবাসের দরপত্র আহ্বান       হামাসকে ইসরায়েলি নারী, আপনাদের কাছে আমার মেয়ে রাজকন্যার মতো ছিল       চেয়ারম্যান সাব্বির খানের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকার জন্য প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ- গোপালগঞ্জ।       ইসলামী অর্থনীতিতে দান এবং যাকাত এক নয়। যাকাত বঞ্চিতদের পাওনা - মোঃ মাসউদুর রহমান।       উর্ধমুখী এয়ার টিকেট মূল্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই বলে মন্তব্য করেন মোঃ মাসউদুর রহমান       নৌকার প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত       চাঁদপুরের মতলব(উঃ) শিক্ষককে হত্যা চেষ্টায় বাহির থেকে তালা দিয়ে আগুন!       বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে চারটি ইউনিট       পর্যটনের অপার সম্ভাবনা হতে পারে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া সাথে জামাই চা!    

এবারও নগালের মধ্যে মদিনার আজোয়া তবে দাম বেড়েছে ইরাকী বস্তা খেজুরের

প্রকাশিত: এপ্রিল ০১, ২০২২, ০৮:৩০ সকাল
আপডেট: এপ্রিল ০৩, ২০২২, ০৮:০৫ সকাল

হাফিজা বিনা: একদিন পরই পবিত্র মাহে রমজান। আর ইফতারে সব চে’ প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো খেজুর। গতবছরের মত এবারও দরপতন হয়েছে  মদিনার খেজুরের। অন্যদিকে গতবারের চেয়ে দাম বেড়েছে ইরাক থেকে আমদানি করা খেজুরের। প্রায় সব খেজুরের দাম সহনীয় থাকলেও সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা সৌদি আরবের মদিনার আজোয়া খেজুরের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি।  ব্যবসায়ীদের দাবি করোনাকালীন হজ্ব ও ওমরাহ’তে সীমিত লোক অংশ নেয়ার কারণে অনেক খেজুর অবিক্রিত রয়ে গেছে। একারণে অনেক কম দামে সেই খেজুরগুলো বাংলাদেশে আসছে।


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৪০টি দেশে খেজুর উৎপাদিত হয়। উৎপাদনের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচটি দেশ হলো মিসর, সৌদি আরব, ইরান, আলজেরিয়া ও ইরাক। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৬৭ শতাংশই আসে এই পাঁচ দেশ থেকে। এফএওর তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে গত দুই বছরে যে খেজুর উৎপাদন হয়েছে তা বাজারজাত করার আগেই করোনা ভয়াবহতা শুরু হয়। এরসাথে যুক্ত হয়েছে ২০২১ সালে উৎপাদিত খেজুরও। ফলে সরবরাহ বেড়ে চাহিদা কমে যাওয়ায় কম দামে খেজুর বিক্রি করে দিচ্ছেন রপ্তানিকারকেরা। দাম অনেক কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে এবার বিপুল পরিমাণে খেজুর আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের গতবছরের মত আমদানি হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খেজুর। যা অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। আমদানি বেশি হওয়ায় কম-বেশি সব ধরনের খেজুরের গতবছরর মতই আছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রমজান মাসে দেশে খেজুরের আনুমানিক চাহিদা সবোর্চ্চ ৪০ হাজার টন। তবে দেশে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টনেরও বেশি খেজুর আমদানি হয়েছে। এরমধ্যে সৌদি খেজুরের দাম কমলেও এবার বেড়েছে ইরাক থেকে আমদানী করা খেজুর।  এরজন্য অবশ্য পরিবহন ব্যয়কেই দায়ি করেছেন ব্যবসায়ীরা।


এদিকে, উত্তরাঞ্চলের খেজুরের বড় মোকাম বগুড়ার স্টেশন রোডের পাইকারি মার্কেটে এখন মাঝারি মানের বিভিন্ন খেজুরে কার্টন প্রতি (১০ কেজি) ১ হাজার ১শ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে নাগাল খেজুরের দাম ১৫শ’ টাকা। সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ইরাকি বস্তা খেজুরের দাম পাইকারিতে এবার বেড়েছে কেজিতে  ১৫ থেকে ২০ টাকা। যা গতবছর বিক্রি হয়েছে  ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি । অন্যদিকে খুচরা বাজারের বস্তা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১শ’ থেকে ১শ ২০ টাকা। ইরাকি দাবাস (১০ কেজির প্যাকেট) বিক্রি হচ্ছে ২হাজার ৫০ থেকে ২১শটাকা পর্যন্ত। গতবছর দাম ছিল ১৭ থেকে ১৮শ টাকা। জিহাদী খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। ভালো মানের মরিয়ম খেজুর (পাচ কেজি) ২৭শ’ টাকা। গতবছর ছিল ১ হাজার ৬শ’ থেকে ২হাজার টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজিতে। রিজিস ১০ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৬৫০ টাকা। এই খেজুর ছাড়াও বিভিন্ন নামের খেজুর পাইকারি দোকান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের কাছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৭০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন।


অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেজুর আজোয়ার দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি। এতদিন যারা সৌদিআরবের মদিনায় উৎপাদিত এই দামী ও সুস্বাদু  খেজুরটির দামের কারণে স্বাদ নিতে পারেননি, বা পেলেও ইচ্ছেমত পারেননি,  সেই আজোয়া খেজুর এখন সাধারণ মানুষের নাগালে। পাইকারিতে (৫ কেজির আজুয়া) খেজুরের দাম ১ হাজার  থেকে ১৪শ’। সেই আজোয়া মানভেদে এখন খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪শ’ থেকে ৭৫০ টাকায়।


খেজুরের দরপতনের ব্যাপারে শহরের স্টেশনরোডে অবস্থিত মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মনসুর আলম বলেন, এই মৌসুমে দেশে মক্কা ও মদিনার খেজুর বেশি আমদানি হয়েছে। প্রতিটি খেজুরের দাম কমলেও সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে খেজুরের রাজা বলে খ্যাত আজোয়ার দাম। অর্থাৎ প্রতিকেজি খেজুরের দাম পড়ছে ৫শ টাকা, যা এযাবত কালের সর্বনিম্ন দাম। তিনি বলেন, প্রতিবছর হজ ও ওমরাহ পালন শেষে ফেরার সময় আজোয়াসহ খেজুর কিনে ফেরেন মুসল্লিরা। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে হজ ও ওমরাহ পালিত হয়েছে। এজন্য খেজুর খুব বেশি বিক্রি হয়নি। তাতে আজোয়াসহ অন্যান্য খেজুরের দাম কমে গেছে।


মেসার্স সায়েম টেডার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি আব্দুস সালাম  বলেন,  বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি খেজুর আমদানি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তবে নিজেদের উৎপাদিত খেজুরের পাশাপাশি ইরাক, ইরান, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশের উৎপাদিত খেজুর এনে তারা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। দর পতনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন করোনার কারণে উৎপাদিত খেজুরগুলো বিক্রি হয়নি। ফলে সরবরাহ অনেক বেড়ে গেছে। একারণে কম দামে এখন খেজুর বিক্রি করে দিচ্ছেন রপ্তানিকারকেরা। দাম কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে এবার বিপুল পরিমাণে খেজুর আমদানি হচ্ছে। আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে কম-বেশি সব ধরণের খেজুরের দাম কমেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়