শিরোনাম

  এয়ার টিকেট মূল্য ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে যেয়ে বিপাকে আটাব, পেছন থেকে গোপনে মদদ দেয়ার অভিযোগ এয়ারলাইন্স, OTA এবং অভিযুক্ত সিন্ডিকেট ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে।       আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ, ঢাকা সেনানিবাসের দরপত্র আহ্বান       হামাসকে ইসরায়েলি নারী, আপনাদের কাছে আমার মেয়ে রাজকন্যার মতো ছিল       চেয়ারম্যান সাব্বির খানের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকার জন্য প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ- গোপালগঞ্জ।       ইসলামী অর্থনীতিতে দান এবং যাকাত এক নয়। যাকাত বঞ্চিতদের পাওনা - মোঃ মাসউদুর রহমান।       উর্ধমুখী এয়ার টিকেট মূল্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই বলে মন্তব্য করেন মোঃ মাসউদুর রহমান       নৌকার প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত       চাঁদপুরের মতলব(উঃ) শিক্ষককে হত্যা চেষ্টায় বাহির থেকে তালা দিয়ে আগুন!       বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে চারটি ইউনিট       পর্যটনের অপার সম্ভাবনা হতে পারে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া সাথে জামাই চা!    

মায়ের লাশ ঝুলিয়ে স্বাভাবিক ছেলে-বৌ, ঘটনা ফাঁসের পর লাপাত্তা

প্রকাশিত: এপ্রিল ০২, ২০২২, ০৯:২৯ সকাল
আপডেট: এপ্রিল ০৩, ২০২২, ০৮:০৪ সকাল

রাজশাহী প্রতিনিধি: মাকে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেই স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিলেন ছেলে ও তার স্ত্রী। তবে বাধ সাধেন ছোট ভাই। তিনিই মায়ের ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। এ ঘটনার পর থেকে স্ত্রীসহ পলাতক বড় ছেলে। তার নাম হামিদুল। এখন পুলিশ তাদের খুঁজছে। নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার তার লাশ উদ্ধার করা হয়।


জানা যায়, ঘরে মায়ের লাশ রেখে স্বাভাবিক চলাফেরা ও আচরণ করছিলেন বড় ছেলে হামিদুল ও তার স্ত্রী আকলিমা। তবে দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে মাকে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলে বিরলের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তিনিই ঘরের ভেতরে ঢুকে মায়ের ঝুলন্ত লাশ শনাক্ত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানান, যোগীপাড়া গ্রামের শাহিদা বেওয়া (৭০) স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেদের সাথে থাকতেন। স্বামীর জমি বড় ছেলে হামিদুল ইসলাম ভোগদখল করে আসছেন। কিছুদিন ধরে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয় শাহিদার। তারা খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেন। শাহিদা অন্য স্বজনদের সহযোগিতায় কোনো রকমে দিনযাপন করছিলেন।


সর্বশেষ গত বুধবার রাতে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সাথে শাহিদার ঝগড়া হয়। পরে পাশাপাশি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাহিদা। গত বৃহস্পতিবার সকালে হামিদুল ও তার স্ত্রী আকলিমা ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে স্বাভাবিক কাজ করছিলেন। দুপুর পর্যন্ত শাহিদাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলে বিরল হোসেনের সন্দেহ হয়। মায়ের বিষয়ে হামিদুলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন। পরে মায়ের ঘরের ভেতরে ঢুকে তার লাশ দেখতে পান বিরল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।


বিরল হোসেন বলেন, তার মাকে পিটিয়ে, শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। নিহত শাহিদার মেয়ের স্বামী শামসুল আলম বলেন, তার শাশুড়ির গলা ও পেটের নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামিদুল ও তার স্ত্রী আকলিমা তাকে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। ঘটনা প্রকাশের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি দম্পতিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, তাদের গ্রেফতার করা গেলেই হত্যাকান্ডের রহস্য জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়