সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে সারা দেশে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দুই ধাপে নেওয়া হতে পারে। প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ঈদুল ফিতরের পর নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ৬১ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে এসব সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে আবার জানানো হবে।
মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে সব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিয়ে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এপ্রিল মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের আগামী জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। সে হিসাবে ১টি পদের জন্য প্রতিযোগিতা হবে ২৯ প্রার্থীর মধ্যে।
সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা বিভাগে, ২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯টি। এরপর রাজশাহীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০, খুলনায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩, ময়মনসিংহে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৬, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৬, বরিশালে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪, সিলেটে ৬২ হাজার ৬০৭ এবং রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৬৬টি।
সহকারী শিক্ষক পদে ৩০ বছর পূর্ণ হওয়া প্রার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাঁদের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, সরকারি চাকরিতে তাঁদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবরে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর ছিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।