শিরোনাম

  এয়ার টিকেট মূল্য ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে যেয়ে বিপাকে আটাব, পেছন থেকে গোপনে মদদ দেয়ার অভিযোগ এয়ারলাইন্স, OTA এবং অভিযুক্ত সিন্ডিকেট ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে।       আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ, ঢাকা সেনানিবাসের দরপত্র আহ্বান       হামাসকে ইসরায়েলি নারী, আপনাদের কাছে আমার মেয়ে রাজকন্যার মতো ছিল       চেয়ারম্যান সাব্বির খানের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকার জন্য প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ- গোপালগঞ্জ।       ইসলামী অর্থনীতিতে দান এবং যাকাত এক নয়। যাকাত বঞ্চিতদের পাওনা - মোঃ মাসউদুর রহমান।       উর্ধমুখী এয়ার টিকেট মূল্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই বলে মন্তব্য করেন মোঃ মাসউদুর রহমান       নৌকার প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত       চাঁদপুরের মতলব(উঃ) শিক্ষককে হত্যা চেষ্টায় বাহির থেকে তালা দিয়ে আগুন!       বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে চারটি ইউনিট       পর্যটনের অপার সম্ভাবনা হতে পারে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া সাথে জামাই চা!    

ময়ূর-মথুরার জাতভাই ‘কাঠময়ূর’

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২২, ০৯:০২ রাত
আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২২, ০৯:০২ রাত

পাহাড়-টিলাময় গভীর জঙ্গলই এদের পছন্দ। নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করে।
এককালে দেশের বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রামে ছিল। এখন বিলুপ্তির পথে। সুন্দর এ পাখিটির নাম কাঠময়ূর বা কাঠমৌর।
এদের ইংরেজি নাম Grey peacock। বৈজ্ঞানিক নাম polyplectron bicalcaratum। পুরুষ পাখিটি লেজসহ ৬৪ সেন্টিমিটার। মেয়েটির মাপ ৪০-৪৮ সেন্টিমিটার। ময়ূর ও মথুরার জাতভাই। ওজন হয় ৬০০-৭০০ গ্রাম।
ময়ূর গোত্রের পাখিদের মধ্যে পুরুষরা সুন্দর বেশি। পুরুষ পাখিটির মাথায় ঝুঁটি থাকে। মেয়েটির নেই। গাছের কচি পাতা, ফুলের কুঁড়ি, নানান রকম ঘাসের বীজ, পাকা ডুমুর, জাম, পোকামাকড়, ছোট গিরগিটি,, তক্ষক, সাপের বাচ্চা, কেঁচো, শামুক, মাছ, কাঁকড়া প্রভৃতি খায়। সুযোগ পেলে ছোট কোনো পাখির ডিম বা বাচ্চাও খেয়ে ফেলে। বাঁশফুল ও ফল এদের প্রিয় খাবারের তালিকায়।
বিচিত্র স্বরে ডাকতে পারে এরা। স্বাভাবিক ডাক পোষা মোরগ-মুরগির মতোই মনে হবে। তবে স্বরটা একটু চড়া ও কড়া। ভয় পেয়ে যখন ডাকে বা শত্রু দেখে বনবাসীকে খবর দেয় তখন কণ্ঠটা পোষা তিতিরের মতো মনে হয়।
 ডিম পেড়ে বাচ্চা তোলার জন্য মাটির উপর বাসা করে এরা। সমান মাটি পছন্দ নয়। পা দিয়ে আঁচড়ে গর্ত করে বাঁশপাতা বিছিয়ে নেয়। মেয়েটি একাই বাসা সাজায়। তবে বৃষ্টি নামলে বা শিলাপাতের সময় মেয়েটির পাশে গিয়ে পুরুষটিও ডিম-ছানা রক্ষা করে।
৩-৫টি চকচকে ডিম পাড়ে। ২২-২৫ দিন তা দেওয়ার পর বাচ্চা ফোটে। মা পাখি ১২-১৫ ঘণ্টা ছানাদের বুকের ওমে রাখে। ছোট ছানা দেখেতে মুরগি ছানার মতোই। মা মুখে খাবার তুলে দেয় না। খাবার দেখিয়ে দেয় অথবা জ্যান্ত খাবার মেরে সামনে দেয়। শত্রুর আগমনে লুকাতে ওস্তাদ এরা।  
প্রয়োজনে এরা অতি দ্রুতবেগে দৌড়াতে পারে নিঃশব্দে। রাতের আশ্রয়ের জন্য পছন্দ বাঁশবাগান। এরা সহজে শত্রুর সামনে পড়তে চায় না। তবু দেশ থেকে সুন্দর এ পাখিটি বিলুপ্তপ্রায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়