ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে রাশিয়া। আর তাই মস্কোর জ্বালানিখাতের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকে ধীরে ধীরে নির্ভরশীলতা কমাতে চাপ প্রয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদী একটি জ্বালানি অংশীদারিত্বে পৌঁছেছে জার্মানি ও কাতার। মূলত ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটি রুশ জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহ করে থাকে রাশিয়া। তবে বৈশ্বিক এই পরাশক্তি দেশটি ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে মস্কোর ওপর থেকে সেই নির্ভরশীলতা কমাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন জার্মান অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক।
এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, রোববার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাত করেন জার্মান অর্থমন্ত্রী হ্যাবেক। এসময় তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে জ্বালানিখাতে সম্পর্ক আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে বার্লিনে জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রোববার নিশ্চিত করেছেন যে, কাতারের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘যে সংস্থাগুলো অর্থমন্ত্রী হ্যাবেকের সঙ্গে কাতারে গেছে তারা এখন দেশটির কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা শুরু করবে।’
অন্যদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে কাতার জানিয়েছে, বছরের পর বছর ধরে তারা জার্মানিকে গ্যাস সরবরাহ করতে চেয়েছে কিন্তু আলোচনা কখনোই সুনির্দিষ্ট চুক্তির দিকে এগোয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি বলছে, নিজ নিজ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোকে পুনরায় যুক্ত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতি করতে তারা জার্মানির সাথে সম্মত হয়েছে।
এছাড়া কাতারের রাজধানী দোহায় দেশটির জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ শেরিদা আল-কাবির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন জার্মান অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক। বৈঠকে তারা কাতার-জার্মানির মধ্যকার জ্বালানি ও সহগযোগিতামূলক বিদ্যমান সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।