পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, সারা বিশ্বের সামনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভুল ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ইসলামোফোবিয়া বন্ধে মুসলিম দেশগুলো কিছুই করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, টুইন টাওয়ারে হামলার পর সারাবিশ্বেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভুল ধারণা ছড়িয়েছে যে মুসলমানরা সন্ত্রাসী। দুঃখজনকভাবে মুসলিম দেশগুলো ইসলামোফোবিয়ার এই ভুল ধারণা প্রতিরোধের জন্য কোনো চেষ্টাই করিনি। এ কারণে পশ্চিমের সাধারণ মানুষ তা বিশ্বাস করেছে।
ইমরান খান বলেন, ১৫ মার্চকে জাতিসঙ্ঘে ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের ঐতিহাসিক প্রস্তাব পাস হওয়ায় আমি বিশেষ করে আমাদের ওআইসি সদস্যদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিশ্ব বর্তমানে ইসলামোফোবিয়ার বাস্তবতা উপলব্ধি করেছে পেরেছে এবং তা প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। বিশ্ব মুসলমানদের ভুলভাবে সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত করেছে। ওআইসির অন্যতম উদ্দেশ্য ইসলামি মূল্যবোধ রক্ষা করা। কিন্তু ইসলামি মূল্যবোধ বর্তমানে যে হুমকির মুখে রয়েছে, তা আর কখনোই হয়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি পরিবার ব্যবস্থা সংরক্ষণ করেছে। বাবা-মা ও শিক্ষকদের সম্মান করার মতো মূল্যবোধ এর আছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সূত্রে বর্তমানে যে সংস্কৃতি আসছে, আমাদের আবশ্যিকভাবে উচিত চিন্তা করা যে কিভাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আমরা রক্ষা করবো।
২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ঘটনা উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, একজন ব্যক্তি মসজিদে এসে সবাইকে গুলি করল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের সকল মুসলিম জাতিকে এ বিষয়ে ভাবতে হবে। এই বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ৪৮তম অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই বছর ‘একতা, ন্যায়বিচার ও উন্নতির জন্য সহযোগিতা গড়া’ প্রতিপাদ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।