শিরোনাম

  এয়ার টিকেট মূল্য ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে যেয়ে বিপাকে আটাব, পেছন থেকে গোপনে মদদ দেয়ার অভিযোগ এয়ারলাইন্স, OTA এবং অভিযুক্ত সিন্ডিকেট ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে।       আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ, ঢাকা সেনানিবাসের দরপত্র আহ্বান       হামাসকে ইসরায়েলি নারী, আপনাদের কাছে আমার মেয়ে রাজকন্যার মতো ছিল       চেয়ারম্যান সাব্বির খানের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকার জন্য প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ- গোপালগঞ্জ।       ইসলামী অর্থনীতিতে দান এবং যাকাত এক নয়। যাকাত বঞ্চিতদের পাওনা - মোঃ মাসউদুর রহমান।       উর্ধমুখী এয়ার টিকেট মূল্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই বলে মন্তব্য করেন মোঃ মাসউদুর রহমান       নৌকার প্রার্থীর আবেদনে ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত       চাঁদপুরের মতলব(উঃ) শিক্ষককে হত্যা চেষ্টায় বাহির থেকে তালা দিয়ে আগুন!       বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে চারটি ইউনিট       পর্যটনের অপার সম্ভাবনা হতে পারে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া সাথে জামাই চা!    

কলকাতার হাসপাতালে ২৪ লাখ টাকার বিল, তদন্তে স্বাস্থ্য কমিশন

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২২, ১২:৪৪ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০৩, ২০২২, ০৮:১০ সকাল

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে ‘পরিদর্শন টিম’ পাঠাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিল করার চারটি অভিযোগ এসেছিল আগেই। পঞ্চম অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হন ইমাম হুসেন।

বিহারের বাসিন্দা ইমামের স্ত্রী নবীজান বিবি একাধিক জটিলতা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আনন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। ৬৯ বছর বয়সের প্রৌঢ়া গত ২৮ জানুয়ারি ভর্তি হন। ১০ মার্চ পর্যন্ত ছিলেন হাসপাতালে। এরপর পরিবারের লোক মুচলেখা দিয়ে ডিসচার্জ করিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যান। সমস্যা হয় বিল দিতে গিয়েই। নবীজান বিবির চিকিৎসাবাবদ বিল হয়েছে ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা! তার মধ্যে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি। বকেয়া ১৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

ইমাম হুসেনের বক্তব্য, বকেয়া টাকা দেব। তবে যেন ন্যায্য হয়। 

বিল খতিয়ে দেখেছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। কমিশন চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন খাতে অসম্ভব বেশি বিল। হাসপাতাল কোনোরকম অ্যাডভাইসরি মানেনি। বাজারের থেকে অতিরিক্ত দামে মেরোপেনেম, হিউম্যাল অ্যালবুমিন দেওয়া হয়েছে। 

কমিশনের রায় অনুযায়ী, বকেয়া ১৬ লাখ টাকা কিস্তিতে দিতে পারবে রোগীর পরিবার। চারমাস পর থেকে মাসে ২ লাখ টাকা করে দেবেন। 

কমিশন চেয়ারম্যানের কথায়, এর আগেও চারটি ক্ষেত্রে সতর্ক করা হয়েছিল। আনন্দপুরের ওই হাসপাতাল কেন অ্যাডভাইসরি মানছে না, তা দেখতে হাসপাতালে যাবে ইন্সপেকশন টিম। গত এক মাসের সমস্ত বিল অডিট করবে সেই টিম। প্রশাসনিকভাবে খতিয়ে দেখা হবে বিলগুলো।

উল্লেখ্য, জনগণকে আর্থিক নিরাপত্তা দিতে ২০২০ সালে অ্যাডভাইসরি জারি করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। যেখানে বলা হয়েছিল, ওষুধে অন্তত ১০ শতাংশ এবং চিকিৎসার অন্যান্য সরঞ্জামে ২০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। দামি ব্র্যান্ডের অ্যান্টিবায়োটিক, ওষুধ ব্যবহারের আগে রোগীর পরিজনদের মতামত নিতে হবে। একই ওষুধ কম দামেও পাওয়া যায়। রোগীর পরিজন সেই ওষুধ ব্যবহার করতে চান কি-না তা জানতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়