সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি: খ্যাতিমান চিত্রপরিচালক আজিজুর রহমানের (৮৪) গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সান্তাহারে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হয়েছে।
আজ সোমবার বাদ জোহর উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের সাঁতাহার ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার অছিয়ত অনুযায়ী সাঁতাহার পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হয়।
আজিজুর রহমানের ছোট ভাই মশিউর রহমান মাসুদ জানান, গত রবিবার সকালে ভাইয়ের মরদেহ বহনকারী কার্গো বিমান ঢাকায় পৌঁছায়। এফডিসিতে ভাইয়ের মরদেহ যথাযথ মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানো শেষে ওই দিন বাদ আসর মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা গ্রিনরোডের সেন্ট্রাল রোডে তার বাসভবনে। বাদ এশা ধানমণ্ডি ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জানাজা। এর পর রাতে তার মরদেহ ফ্রিজিং করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হেলিকপ্টারযোগে উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে ইন্সটিটিউট মাঠে নেওয়া হয়। সেদিন সকাল থেকেই ওই মাঠে আইনসৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাকে একনজর দেখতে দলে দলে নারী-পুরুষরা সেখানে ছুটে আসেন।
ওই দিন বাদ জোহর সান্তাহার পৌর শহরের সাঁতাহার ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার অছিয়ত অনুযায়ী মায়ের কবরেই তাকে শায়িত করা হয়।
তার জানাজায় অংশ নেয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর, সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, স্থানিয় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বাদশা, আলাউদ্দীন, সান্তাহার শহর প্রেসক্লাবের সভাপতি জিললুর রহমান, অভিনেতা আলম খান ও আজিজুর রহমানের ছেলে টয় রহমান প্রমূূখ।
উল্লেখ্য, ফুসফুসের সমস্যা জনিত কারনে গত সোমবার কানাডায় মৃত্যু হয় ‘ছুটির ঘণ্টা’খ্যাত আজিজুর রহমানের। পরে বুধবার টরেন্টোতে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।