রাজধানীর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
খেলোয়াড়ি জীবনে একটা সময়ে প্রতিনিয়তই আসা হতো শেরে বাংলার মাঠে। সে সময় মোশাররফ হোসেন রুবেলের লড়াইটা ছিল প্রতিপক্ষ ক্রিকেট টিমের বিরুদ্ধে। আর তিন বছর আগে জীবন বাঁচাতে তার লড়াই শুরু হয় টিউমারের বিপক্ষে। দীর্ঘ তিন বছর লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার হার মানলেন রুবেল। জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে।
যে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজ ঘিরে একটা সময় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, সেখানেই রুবেল ফিরলেন লাশ হয়ে। হোম অফ ক্রিকেটের মাঠে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাযা। পরে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রুবেলের জানাযায় শরিক হন সাবেক ক্রিকেটার, সতীর্থ, বোর্ড কর্তা আর অগণিত ভক্ত।
প্রায় তিন বছর ধরে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা চলে মোশাররফ রুবেলের। জাতীয় দলের সাবেক এই স্পিনার গত মাসের শেষদিকে ভর্তি হন হাসপাতালে।
রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুরু হয় ডিহাইড্রেশন, সঙ্গে কিডনির সমস্যায় ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। হাসপাতালের আইসিইউতে এক মাস থাকার পর কেবিনে নেয়া হয় তাকে।
২০১৯ সালে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের। প্রায় দেড় বছরের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এমআরআইয়ে জানতে পারেন যে টিউমারটি আবার বাড়তে শুরু করেছে। তারপর থেকে চলে কেমোথেরাপি।
২৪টি কেমোথেরাপি নেন রুবেল। অক্টোবরে সবশেষ কেমো নেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হলো তাকে।
বাংলাদেশের হয়ে সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে ৫টি ওয়ানডে খেলেন রুবেল। ২০১৬ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে সবশেষ খেলেন তিনি। ৫ ওয়ানডে ম্যাচে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২০০১ সালে অভিষেকের পর ১১২টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে পেয়েছেন ৩৯২ উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।